Posts

Showing posts from October, 2018

তাফসীরে মাসুমীতে আহলে বাইত সম্পর্কিত তথ্য

Image
তাফসীরে মাছুমী হযরতুল আল্লামা শাহ সূফী দরবেশ আলী আকবর চিশতী সাবেরী নকশেবন্দী মুজাদ্দেদী আল কাদরী আঁকা ফয়েজে আল মাছুমী রহ. পৃঃ 13 হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর এই এলমে লাদুন্নী বা গুপ্ত এলেম তার কতিপয় সাহাবীদেরকেও দান করেছেন। যেমন হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত আলী (রা.) কে এই জ্ঞান দান করেছেন। হযরত আলী (রা) সম্পর্কে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন... ”আমি প্রজ্ঞার (যাবতীয় এলেম) শহর এবং আলী হলো তহার দরজা। (তিরমিজী কিতাবুল মানাকিব)।” ইন্তেকালের পূর্বে গুপ্ত জগতের গুরুভার হযরত আলী (রা.) এর উপর অর্পন করে যান। গাদীরে খুমে হুজুর সাঃ আলী রা. কে দায়িত্ব দিয়েছিলেন, সেটিই বেলায়েতের খেলাফত। এখানেই শীয়া সুন্নী দ্বন্দ লেগে যায়। শিয়ারা বলে হযরত আলী (রা) কে দেশের খলীফা নির্বাচন করে গেছেন। কিন্তু আলীতো এলমে লাদুন্নীর দরজা। আলী রা. বিনে মারেফত হাসিল হবেনা। হযরত আলী রা. দেশের খলিফা হবেনই কিন্তু গাদিরে খুমের খেলাফত বেলায়াত রাজ্যের খেলাফত।কিন্তু শিয়ারা তা মানেনা, বিধায় শিয়াদের মধ্যে আধ্যাতিকতা বলতে কিছুই নেই। তাদের মধ্যে তরিকার কোন প্রচলন নেই।

মহানবী সা. ই হচ্ছেন একমাত্র অনুকরণীয় আদর্শ ও মানদন্ড।

Image
                                                        “বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম”                                          লাক্বাদ কানা লাকুম ফি রাসুলিল্লাহি উসয়াতুন হাসানাহ।                                                 অর্থাৎঃ  নিশ্চয়ই মহানবী (সা.) এর আদর্শই হচ্ছে উত্তম অনুকরণীয় আদর্শ (তথা একমাত্র মানদন্ড)। যুগে যুগে আল্লাহ আজ্জা ওয়া জাল্লা নবী রাসুলগনের মাধ্যমে তাঁর বান্দার কাছে বানী পাঠিয়েছেন। সমস্ত বিধি-বিধান, আদেশ-নিষেধ, মাসয়ালা-মাসায়েল সম্পর্কে তাঁর বান্দাহদের অবহিতকরনের জন্য দু ধরনের বান্দা তৈরী করেছেন। প্রথমত, এমন প্রকার বান্দা যারা আল্লাহ কর্তৃক মনোনীত এবং নিস্পাপ তথা পাপ যাদের স্পর্শ করতে পারেনা। যাদের মানবিক হিংসা-ভ্রান্তি, লালসা, ও জাগতিক চাহিদা কাবু করতে পারেনা। শয়তানও যাদের ধারে কাছে ভিড়তে পারেনা।এমন প্রকার ব্যক্তিদেরকে আল্লাহ তায়ালা আসমানী ওহীর মাধ্যমে সকল বিষয়ের ফয়সালাকারী ও নির্ধারনকারী হিসেবে মনোনীত করেছেন। এক কথায়, আল্লাহ এবং তাঁর গুনাহপ্রবন, ভুল-ভ্রান্তি সম্পন্ন, মানবিক দুর্বলতা সম্পন্ন, এবং জাগতিক লোভে পতিত হওয়ার আশংকাসম্পন্ন বান্দাদের মাঝে সেতুবন

Over 100 Sunni scholars declare Wahhabis to be outside mainstream Sunni Islam – Chechnya

Image
An International conference of Sunni scholars was held in Grozny, Chechnya, attended by more than 100 renowned Islamic scholars and Sufi shaykhs who came from Russia, Syria, Turkey, India, Egypt, Jordan, South Africa, United Kingdom and other countries. Shaykh Ahmed El-Tayeb, Grand Imam of al-Azhar, Egypt, defined the mainstream Sunni Islam and excluded Wahhabis from it. He stated: “Ahl as-Sunnah wal-Jama’ah are the Ash’arites and Muturidis (adherents of the theological systems of Imam Abu Mansur al-Maturidi and  Imam Abul- Hasan  al-Ash’ari ).  In matters of belief, they are followers of any of the four schools of thought (Hanafi, Shafi’i, Maliki or Hanbali) and are also the followers of the Sufism of Imam Junaid al-Baghdadi in doctrines, manners and [spiritual] purification.” This statement implies that Salafists, also called Wahhabis, are not part of the mainstream Ahl as-Sunnah or Sunni Muslims, despite the fact that they are trying to hijack the term Sunni by labeling th

মাওলানা তারিক জামিল কেন বিতর্কিত?

Image
সম্প্রতি আহলে  সুন্নাহ ওয়াল জামাআতের প্রসিদ্ধ হক্কানী আলেম যিনি প্রায় সকল আলেম সমাজের মুকুট তিনি কিছুদিন পূর্বে তাঁর একটি বক্তব্যের কারনে ফতোয়াবাজদের রোষানোলে পরেন। ”হজরত আলী কে মাওলা আলী বলে ডাকো!”--মাওঃ তারিক জামিল দাঃবাঃ চলুন প্রথমে মাওলানা তারিক জামিল সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক তারিক জামিল  (জন্ম ১ জানুয়ারি ১৯৫৩)। তিনি  মাওলানা তারিক জামিল  নামে অধিক পরিচিত। তিনি একজন পাকিস্তানি ইসলাম প্রচারক, দেওবন্দি পণ্ডিত এবং আলম-এ-দীন(ধর্মগুরু)।  তিনি খানোয়াল, পাঞ্জাবে অবস্থিত  তলামবা র অধিবাসী। তিনি তাবলীগ জামাত  সংগঠনের সদস্য এবং পাকিস্তানের ফয়সলাবাদের একটি মাদ্রাসার পরিচালক।  তিনি  দ্য মুসলিম ৫০০ -এর ২০১৩/২০১৪ এডিশনে জনপ্রিয় বক্তা হিসাবে স্থান পেয়েছিলেন। উপাধি মাওলানা জন্ম مولانا طارق جمیل ১ জানুয়ারি ১৯৫৩  (বয়স ৬৫) [১] খানোয়াল, পাকিস্তান সম্প্রদায় সুন্নি মাজহাব হানাফি আন্দোলন তাবলীগ জামাত মূল আগ্রহ শরীয়ত, হাদীস,কোরআন,ইসলামী অর্থনীতি, তাফসীর শিক্ষায়তন জামিয়া আরাবিয়া, (পাকিস্তান) তিনি সর্বজন স্বীকৃত হওয়া সত্বেও কি এমন কথা তিনি বললেন যার কারনে তাঁকে তিরস্কার

দোয়া শিখি.... (প্রথম পর্ব) “দোয়া কুমাইল”

Image
                                                                             দোয়া কুমাইল পরম করুণাময় অনন্ত দয়ালু আল্লাহর নামে হে আল্লাহ মুহাম্মদ ও তাঁর বংশধরদের উপর শান্তি বর্ষণ করো ভূমিকাঃ কুমাইল ইবনে জিয়াদ নাখাঈ ছিলেন আমিরুল মোমিনীন হযরত আলী ইবনে আবু তালিব (আ.) এর একজন ঘনিষ্ঠ সহচর। এই অসাধারণ দোয়াটি প্রথম উচ্চারিত হয়েছিল হযরত আলী (আ.) এর সমধুর অথচ যন্ত্রণাকাতর কণ্ঠে। আল্লামা মজলিসী (রহঃ) এর বর্ণনা অনুসারে বসরার মসজিদের যে মজলিসে হযরত আলী (আ.) তাঁর ভাষণে ১৫ই শাবান রাতের তাৎপর্য সম্পর্কে বলছিলেন, সে মজলিসে উপস্থিত ছিলেন কুমাইল। হযরত আলী (আ.) বলেছিলেন, "যে ব্যক্তি এই রাত জেগে এবাদত করবে এবং নবী খিজিরের দোয়া পড়বে নিঃসন্দেহে ঐ ব্যক্তির দোয়া কবুল হবে। " মজলিস শেষে কুমাইল হযরত আলীর ঘরে এসে তাঁকে হযরত খিজিরের দোয়া শিখিয়ে দিতে অনুরোধ করেন। হযরত আলী (আ.) কুমাইলকে বসিয়ে দোয়াটি আবৃত্তি করেন এবং সেটা লিখে মুখস্থ করে রাখার নির্দেশ দেন। তারপর হযরত আলী কুমাইলকে পরামর্শ দিলেন, প্রতি শুক্রবারের শুরুতে (অর্থাৎ আগের রাতে) একবার করে কিংবা অন্ততঃ বছরে একবার এই দোয়াটি পড়তে যাতে করে